আজ শনিবার, ১৮ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আমজাদ স্মরণে শ্রমিক সমাবেশে জাতীয় বাজেটে স্থায়ী বাসস্থান রেশনিং ব্যবস্থার দাবী

নিজেস্ব প্রতিবেদক: গার্মেন্টস শ্রমিক শহীদ আমজাদ হোসেন কামাল দিবস উপলক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গনে ৩ নভেম্বর শুক্রবার বিকাল ৩ টায় বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস্ শ্রমিক ফেডারেশনের উদ্যেগে শ্রমিক সমাবেশ ও শোক র‌্যালী অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস্ শ্রমিক ফেডারেশন এর কেন্দ্রীয় সভাপতি শ্রমিক নেতা মাহবুবুর রহমান ইসমাইল, জাতীয় পোশাক শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাস্টার মোকলেছুর রহমান, বাংলাদেশ গার্মেন্টস্ মুক্তি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা শামীম ইমাম, বিপ্লবী গার্মেন্টস্ সংহতির সভাপতি মীর মোফাজ্জল হোসেন মোস্তাক, সমন্বিত গার্মেন্টস্ শ্রমিক ফেডারেশন এর সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক, বিসিক শাখার সভাপতি হেলিম সরদার, শ্রমিক নেতা আল-আমিন, সুমন হাওলাদার, সাইফুল ইসলাম, নাজমুল হাসান নান্নু, শিমুল আক্তার প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। সভায় সভাপতিত্ব করেন- মাহমুদ হোসেন।

প্রধান অতিথি সাইফুল বলেন, দেশের মানুষকে দুই বড় দল আজ দুই ভাগে বিভক্ত করে রেখেছে। শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থান, কর্মসংস্থানের মৌলিক অধিকার থেকে জনগণকে বঞ্চিত করে লুটেরা পুঁজিবাদের সম্পদ বাড়ছে। মানুষের মৌলিক অধিকারের পাশাপাশি শাসক দল আজ জনগণের ভোটের গণতান্ত্রিক অধিকারও দলীয় করণ করে রেখেছে। শুধুমাত্র ক্ষমতা দখলের রাজনীতির ইস্যু ছাড়া তাদের অন্য কোন ইস্যু নেই। তিনি আমজাদ হোসেন কামাল হত্যাকারীদের বিচার ও শাস্তি দাবী করেন।

প্রধান বক্তা মাহবুবুর রহমান ইসমাইল বলেন, জোঁক যেমন মানব দেহের রক্ত শোষন করে মানুষকে রক্ত শূণ্য করে দেয়। ঠিক তেমনই লুটেরা পুঁজিবাদ তার অতি মুনাফার স্বার্থে সমাজ দেহকে শোষন করে মানুষকে সম্পদহীন করে দিয়েছে। ৮ ঘন্টা কাজ সহ ১৮ দফা দাবীতে ২০০৩ সালে ফতুল্লা বিসিকে প্যানটেক্স গার্মেন্টস্ েশ্রমিকেরা ন্যায্য আন্দোলন করলে পুলিশ গুলি চালিয়ে শ্রমিক আমজাদ হোসেন কামালকে হত্যা করে। মালিক আর সরকারের স্বার্থ অর্থাৎ শোসক আর শাসকের স্বার্থ আজ এক হয়ে গেছে। এই কারণে শ্রমিক হত্যা হলে এর কোন বিচার হয় না। আশুলিয়ায় তাজরিন গার্মেন্টেসে ১২৬ জন শ্রমিক আগুনে পুড়ে এবং রানা প্লাজা ধসে ১১২৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হলেও এর কোন বিচার ও শাস্তি হয় নি। তিনি আরোও বলেন, চাল, ডাল, তেল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যে বাড়ছে। দফায়-দফায় বাড়ছে গ্যাস, বিদ্যুৎ, বাস ভাড়া, বাসা ভাড়া বৃদ্ধির কারণে স্বল্প আয়ের মানুষের পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে উঠেছে, শ্রমজীবি খেটে খাওয়া মানুষ আজ দিশেহারা। এই অবস্থা বেশি দিন চলতে পারে না। সমাবেশে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ- গার্মেন্টস্ শ্রমিকদের জন্য নূন্যতম মজুরী ১৬ হাজার টাকা ঘোষনা, জাতীয় বাজেটে শ্রমিকদের সরকারী রেটে রেশনিং ব্যবস্থা চালু, বিনা মূল্য নারী-শিশু সহ শ্রমিক পরিবারের স্বাস্থ্য সেবা প্রদান, শ্রমিক পরিবারের সন্তানদের বিনামূল্যে শিক্ষা ব্যবস্থা সুযোগ প্রদান, সকল গার্মেন্টস্ কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার এবং সর্বস্তরে শ্রম আইন বাস্তবায়নের দাবী জানান।##